স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে। ভর্তি নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী নির্ধারিত ছকে অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে, লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট নম্বর ১০০।
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বিভাজন কীভাবে–
বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিভাজন থাকবে জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় ১ (এক) ঘন্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে। কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর প্রদান করলে উত্তরটি ভুল বলে গণ্য হবে। প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) নম্বরের কম প্রাপ্তরা দেশে ভর্তি ও বিদেশে এমবিবিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা—
আরও পড়ুন : অস্ট্রেলিয়ার ফাউন্ডেশন একাডেমিক স্কলারশিপ
পরীক্ষার আবেদন ফি—
ভর্তি পরীক্ষার ফি ১০০০ টাকা। ভর্তি পরীক্ষার ফি শুধু প্রি-পেইড টেলিটকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—
অনলাইনে আবেদন শুরু: ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে
আবেদনের শেষ: ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট
২৮ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের ফি জমাদান করা যাবে
প্রবেশপত্র ডাউনলোড পূর্বক রঙ্গিন প্রিন্ট করার তারিখ ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ২০২৫ সাল
ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০টা হতে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনির কোটা বাতিল—
দেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি- নাতনির কোটা বাতিল করা হয়েছে। এতে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এ কোটার অধীনে আসন শূন্য থাকলে সাধারণ মেধা কোটা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে এই কোটার আসন পূরণ করার শর্ত দেওয়া আছে। এর আগে ২০২৪ সালের ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সন্তানের সন্তানাদির জন্য ২ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল।
নীতিমালায় বলা হয়, সদ্য এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ১০ গুণের সঙ্গে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র ১০ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। তবে আগের বছরের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ডেন্টাল ইউনিট- এ ভর্তিকৃত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।