সনদ দেওয়া হলো ঢাবি আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের

লেখক: versityadmission.com Team
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিবিএ ২৮তম ব্যাচ, এমবিএ ৬৪তম ব্যাচ, এক্সিকিউটিভ এমবিএ ৩৭তম ব্যাচ এবং ডিবিএ প্রোগ্রামের মোট ২৪৭ জন শিক্ষার্থীর সনদ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

সনদ

ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি অসাধারণ সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের এ সময়ে আমাদের এমন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা একই সঙ্গে দক্ষ ও সহানুভূতিশীল। যারা শুধু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়, বরং জবাবদিহির সাহস রাখে। আইবিএ স্নাতক হিসেবে এ মুহূর্তে আপনাদের দায়িত্ব হলো সততার সঙ্গে দেশ ও জাতির প্রতিনিধিত্ব করা এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রে সচেষ্ট হওয়া।’

আরও পড়ুন: কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও গ্র্যাজুয়েশন স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজের প্রতি আপনাদের যে দায়বদ্ধতা, তা আপনারা সঠিকভাবে পালন করবেন, এ প্রত্যাশা থাকবে। পরিবর্তনের এই ক্রান্তিলগ্নে, সম্পদের ব্যাক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। তাহলে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যার ভিত্তি হবে মানুষের সম–অধিকার ও স্বাধীনতা।’

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইবিএ পরিচালক অধ্যাপক শাকিল হুদা। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রকৃত সমৃদ্ধি কখনোই ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বরং সমষ্টিগত কল্যাণের মাধ্যমেই প্রকৃত সমৃদ্ধি লাভ করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে আইবিএর শিক্ষক ছাড়াও গ্র্যাজুয়েটদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

নদ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহানারা আমিন পান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইবিএ গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারা যেন এক স্বপ্নের সুন্দর সমাপ্তির মতো। দেশসেরা মেধাবীদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারা ভীষণ সম্মানের ব্যাপার। ভীষণ গর্বিত আমি এবং একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাই আইবিএতে সব শিক্ষক ও সহপাঠীকে তাঁদের আন্তরিক সাহায্যের জন্য, যার ফলে প্রতিনিয়ত আমি নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। আমার পরিবার আমার পাশে ছিল। সে জন্য তাদের প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা। এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রিটা আমার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার জন্য।’

  • সনদ দেওয়া হলো ঢাবি আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের