জার্মানি এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রমেই জনপ্রিয় একটি গন্তব্য হয়ে উঠেছে। টানা দ্বিতীয় বছরে জার্মানিতে বিদেশি ছাত্রদের পড়তে যাওয়ার হার বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীরা এখন আগের বছরের তুলনায় বেশি জার্মানিতে পড়তে যাচ্ছেন। জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের (ডিএএডি) তথ্য অনুসারে, ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে জার্মানিতে। যাঁরা জার্মানিতে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের বিবেচনার জন্য কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো—
আবাসন বা বাসস্থান : জার্মানিতে যাওয়ার পর বাসস্থান খুঁজে পাওয়া চ্যালেঞ্জের এবং ব্যয়বহুল উভয়ই হতে পারে। আগেই আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারলে জার্মানিতে জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
ভাষা : জার্মান ভাষা শিখে রাখতে হবে। এ ভাষা জানা থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবন ও শিক্ষাগত সাফল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। এমনকি ভাষার একটি প্রাথমিক জ্ঞানও সামাজিক সংহতি ও ব্যবহারিক কাজে সাহায্য করে।
প্রোগ্রাম রিসার্চ: যে প্রোগ্রামগুলোয় পড়তে আগ্রহী, আগে থেকেই সেগুলো নিয়ে জানার চেষ্টা বা গবেষণা করলে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের সেরা উপযুক্ত বিষয় খুঁজে পেতে সহায়তা করে। পছন্দের বিষয়গুলোর বিকল্পগুলো মিস করা এড়াতে আবেদনের সময়সীমা সম্পর্কে সচেতন হওয়াটাও অপরিহার্য।
আবাসন বা বাসস্থান : জার্মানিতে যাওয়ার পর বাসস্থান খুঁজে পাওয়া চ্যালেঞ্জের এবং ব্যয়বহুল উভয়ই হতে পারে। আগেই আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারলে জার্মানিতে জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট : ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাইরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষার্থী ভিসার প্রয়োজন। জার্মানিতে যাওয়ার পর স্থায়ী বসবাসে আবাসিক পারমিটের জন্য ভিসার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন : সুইডেনের যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়া পড়া যাবে
স্বাস্থ্যবিমা : জার্মানিতে স্বাস্থ্যবিমা বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা আছে।
সাংস্কৃতিক অভিযোজন: জার্মানির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, যেমন গোপনীয়তা ও সময়ানুবর্তিতার ব্যাপারটি বুঝলে সামাজিকভাবে অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
খণ্ডকালীন কাজ : অনেক শিক্ষার্থী তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচের জন্য খণ্ডকালীন কাজ করেন। কিন্তু একাডেমিক চাপ এড়াতে পড়াশোনার সঙ্গে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখাও অপরিহার্য।
নেটওয়ার্কিং ও সামাজিক সংহতি: যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন, সেখানকার ক্লাব ও বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ সামাজিক সংহতিতে সহায়তা করে এবং এটি শিক্ষার্থীদের মূল্যবান নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সহায়তা করে।